বাঙ্গালী
Friday 22nd of November 2024
0
نفر 0

ইয়েমেনে হামলাকারী সৌদি সেনাদের রোজা রাখতে হবে না'

আহলে বাইত বার্তা সংস্থা (আবনা) : সৌদি আরবের প্রধান (ওয়াহাবি) মুফতি শেইখ আবদুল আজিজ আশ শেইখ বলেছেন, ইয়েমেন সীমান্তে মোতায়েন সৌদি সেনারা ইচ্ছে করলে পবিত্র রমজানের রোজার বিধান অমান্য করতে পারেন। অর্থাৎ রোজা না রাখলেও তাদের পাপ হবে না!
সৌদি দৈনিক ওকাজে প্রকাশিত এই খবরে বলা হয়েছে, ইয়েমেন সীমান্তে ‘জিহাদে মশগুল’ যেসব সেনারা রোজা রাখতে অক্ষম তাদেরকে রোজা রাখতে হবে না!
প্রধান সৌদি মুফতি রণাঙ্গনে মোতায়েন সৌদি সেনাদের প্রতি রমজানের শুভেচ্ছাও জানান।
সৌদি ওয়াহাবি মুফতিরা প্রায়ই হাস্যকর ও অদ্ভুত নানা ফতোয়া দিয়ে সংবাদ-মাধ্যমে বিতর্কের ঝড় তুলছেন এবং অনেক সময় ব্যাপক সমালোচিত ফতোয়াগুলো ফিরিয়ে নিচ্ছেন বা এইসব ফতোয়া তারা দেননি বলে দাবি করছেন! সম্প্রতি প্রধান সৌদি মুফতি এ ধরনের এক ফতোয়ায় বলেছিলেন, প্রবল ক্ষুধার সময় কোনো খাবার পাওয়া না গেলে স্বামীরা তাদের স্ত্রীর অনুমতি নিয়ে স্ত্রীর শরীরের অংশ কেটে খেতে পারবেন! পরে অবশ্য তার দফতর থেকে এই ফতোয়া প্রদানের কথা অস্বীকার করা হয়।
সৌদি নেতৃত্বাধীন কয়েকটি আরব সরকারের জোট গত ২৬ মার্চ থেকে ইয়েমেনে নির্বিচার বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এইসব হামলায় ইয়েমেনের হাজার হাজার শিশু ও নারীসহ প্রায় দশ হাজার বেসামরিক ইয়েমেনি নিহত হয়েছে বলে ইয়েমেনি সূত্রগুলো জানিয়েছে।
এদিকে জেনেভায় কথিত শান্তি আলোচনায় অংশ নিতে আসা ইয়েমেনের জনপ্রিয় আন্দোলন আনসারুল্লাহ ও স্বেচ্ছাসেবী কমিটির পরিচালিত অস্থায়ী সরকারের প্রতিনিধিরা সৌদি সরকারের সমর্থিত ইয়েমেনি আলোচকদের সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন বলে জানা গেছে। তারা বলেছেন, ‘এদের সঙ্গে আমাদের কথা বলার কোনো দরকার নেই; কারণ, ইয়েমেনে হামলা চালাচ্ছে সৌদি সরকার, সৌদি প্রতিনিধিদের সঙ্গেই আমরা কথা বলব।’ সৌদি সরকার ইয়েমেনে গণহত্যা চালাচ্ছে বলে অস্থায়ী সরকারের একজন প্রতিনিধি উল্লেখ করেন।
কোনো কোনো সূত্র আরও জানিয়েছে, জাতিসংঘের মধ্যস্থতাকারীরা এক ব্যক্তিকে ইয়েমেনিদের অন্যতম নেতা বা প্রতিনিধি হিসেবে উল্লেখ করে তার সঙ্গে আলোচনায় বসতে আনসারুল্লাহ ও স্বেচ্ছাসেবী কমিটির পরিচালিত অস্থায়ী সরকারের প্রতিনিধিদের অনুরোধ জানালে তারা বলেন, “এই ব্যক্তি তো সন্ত্রাসী দল আলকায়দার অন্যতম নেতা! মার্কিন সরকারের সন্ত্রাসী তালিকায় তার নাম রয়েছে! এই সন্ত্রাসী এখানে কি করছে? এই ব্যক্তিকে ধরিয়ে দিন!” এইসব কথা শুনে ওই ব্যক্তি ও মধ্যস্থতাকারীরা হতচকিত হয়ে পড়ে আলোচনার স্থান থেকে দূরে সরে পড়েন। #

0
0% (نفر 0)
 
نظر شما در مورد این مطلب ؟
 
امتیاز شما به این مطلب ؟
اشتراک گذاری در شبکه های اجتماعی:

latest article

ইরান না থাকলে সিরিয়া ও ইরাকে এখন ...
তুরস্কে বিয়ের অনুষ্ঠানে বোমা ...
সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর জন্মদাতা ...
যাকযাকির বিরুদ্ধে যড়যন্ত্রের ...
সৌদি আরবের গ্রান্ড মুফতি কে? (পর্ব ...
সন্ত্রাসীদের হামলা থেকে শোক ...
হোসাইনি দালানে আয়াতুল্লাহ ...
হযরত আলীর (আ.) প্রতি বিশ্বনবী (সা.)এর ...
বেকার সমস্যা আমেরিকায় চীন কীভাবে ...
'অটিস্টিক শিশু সমস্যা নয়, প্রয়োজন ...

 
user comment