বাঙ্গালী
Tuesday 26th of November 2024
0
نفر 0

ইমামের ফতোয়ার ফলে আতঙ্কিত রুশদির ঘৃণ্য ইঁদুরে জীবন

বার্তা সংস্থা আবনা : ২৫ বছর আগে ১৯৮৯ সালের এই দিনে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.), হযরত ইব্রাহিম (আ.) ও পবিত্র কুরআনের প্রতি অবমাননাকর বই লেখার অপরাধে ইরানের ইসলামী বিপ্লবের রূপকার ইমাম খোমেনী (র.) ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ মুরতাদ লেখক সালমান রুশদির বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের ঐতিহাসিক ফতোয়া দিয়েছিলেন।

ইহুদিবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর আর্থিক সহায়তাপুষ্ট ধর্মত্যাগী ও অত্যন্ত কুরুচির অধিকারী  মুরতাদ রুশদির লেখা  ‘স্যাটানিক ভার্সেস বা শয়তানের পদাবলী’ নামক জঘন্য বইটি প্রকাশিত হওয়ার পর পরই ভারত ও পাকিস্তানের মুসলমানরা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। প্রতিবাদীদের ওপর পুলিশি হামলায় কয়েকজন মুসলমান শাহাদত বরণ করেন। পরে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে নিন্দা ও বিক্ষোভ। আমেরিকা ও বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় সব দেশ এবং শহরের মুসলমানরা ইসলাম অবমাননার বিরুদ্ধে নিন্দা ও প্রতিবাদে ফেটে পড়েন। বাংলাদেশের মুসলমানরা অর্ধ-দিবস হরতালও পালন করেন। 

কিন্তু বাক-স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে পাশ্চাত্য রুশদির প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখে। (যদিও পাশ্চাত্যে ইহুদিবাদ ও কথিত হলোকাস্টের বিরুদ্ধে কথা বললে কঠোর শাস্তি পেতে হয়; সেখানে কেবল ইসলাম অবমাননার বেলায় বাক-স্বাধীনতার চেতনা জোরদার হয়ে ওঠে!) এ অবস্থায় ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম খোমেনী (র.) রুশদির বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের ঐতিহাসিক ফতোয়া দেন। তার এই ফতোয়া বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের আনন্দিত করে। প্রখ্যাত সুন্নি আলেমরাও এই ফতোয়ার প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানান। ইসলামী সম্মেলন সংস্থা বা ওআইসিও ইমাম খোমেনী (র.)’র ফতোয়ার প্রতি সমর্থন জানায়।

ইরানের একটি সংস্থা রুশদির মাথার জন্য অন্তত: ২৫ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করে এবং পরে এই পুরস্কারের অর্থের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে (৩৩ লাখ ডলার)। ইরানের অন্যান্য সংস্থাও রুশদিকে হত্যার জন্য পৃথকভাবে পুরস্কার ঘোষণা করে। ফলে মৃত্যুর ভয়ে আতঙ্কিত রুশদি ইঁদুরের মত আত্মগোপন করে। কখনও চলাফেরা বা সফর করতে হলে তা গোপনেই করতে বাধ্য হচ্ছে এই কুলাঙ্গার।

রুশদিকে রক্ষার জন্য প্রহরী নিয়োগসহ নিরাপত্তামূলক নানা ব্যবস্থার পেছনে ব্রিটেনকে প্রতি বছর খরচ করতে হচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ।

পশ্চিমা দেশগুলো রুশদির বিরুদ্ধে ইমাম খোমেনী (র.)’র ফতোয়া জারির কারণে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। পাশ্চাত্যের অনেক সরকার ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছে রুশদির কারণে। কিন্তু ইরানের ইসলামী সরকার বলেছে, ইসলামী আইন অনুযায়ী প্রদত্ত এ ধরনের ফতোয়া বাতিল করার সাধ্য বিশ্বের কারো নেই।

ইসলামী আইন অনুযায়ী রুশদি যদি কখনও তওবাও করে তবুও তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে তার জঘন্য ও অমার্জনীয় অপরাধগুলোর জন্য। আর এই শাস্তি কার্যকর করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া মুসলমানদের জন্য অপরিহার্য।

রুশদিকে গত ২৫ বছর ধরে মৃত্যুর ভয় আর বিশ্বের ১৫০ কোটি মুসলমানের ঘৃণা নিয়ে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে।  ‘আর পরকালের শাস্তি হবে আরো (অকল্পনীয় মাত্রায়) কঠোর।

0
0% (نفر 0)
 
نظر شما در مورد این مطلب ؟
 
امتیاز شما به این مطلب ؟
اشتراک گذاری در شبکه های اجتماعی:

latest article

মার্কিন মিত্ররাই সিরিয়ায় ...
তুরস্কে ছুরিকাঘাতে বাংলাদেশি খুন
নিউ ইয়র্কে এবার ছুরিকাঘাতে ...
যশোরে ইমাম বাকির (আ.) এর ...
ফিলিস্তিন ও যায়নবাদ প্রসঙ্গ : ...
‘মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ (সা.)’ মুভি ...
শিশু নীরব হত্যা মামলার প্রধান ...
স্কুলে হিজাব পরায় মার্কিন মুসলিম ...
রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের ...
আয়াতুল্লাহ জাকজাকি বেঁচে আছেন ...

 
user comment