আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা আবনার রিপোর্ট : জায়নবাদী ইসরাইলের গোয়েন্দা বিভাগের এক পদস্থ কর্মকর্তা সতর্ক করেছেন যে, আল-কায়েদার সাথে সম্পৃক্ত আধাসামরিক বাহিনী’র সদস্যদের -যারা বাশার আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে- লক্ষ্যণীয় হারে বৃদ্ধি এ সংঘর্ষ ইসরাইলে সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনাকে প্রবলভাবে বাড়িয়ে দিচ্ছে। বর্তমানে সিরিয়া সংকটের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ থাকার নীতির বিষয়টি বিবেচনা করছে ইসরাইল।
নাম না প্রকাশ করে জায়নবাদী এ কর্মকর্তা আরো জানিয়েছেন, সিরিয়ায় বর্তমানে আল-কায়েদার সাথে সম্পৃক্ত ৩০ হাজারেরও বেশী বিদ্রোহী তত্পর রয়েছে। অবশ্য তেলআবিব কিভাবে এ তথ্য দিয়েছে সে বিষয়ে মুখ খোলেননি তিনি।
তার সংযোজন : দুই বছর পূর্বে সিরিয়াতে আধাসামরিক বাহিনী’র মাত্র ২ হাজার উগ্রতাবাদী সদস্য ছিল। কিন্তু দুই বছর পর তাদের সংখ্যা ব্যাঙের ছাতার ন্যায় বৃদ্ধি পেয়ে ৩০ হাজারে পৌঁছেছে, যা মধ্যপ্রাচ্যের জন্য বড় এক হুমকি।
তিনি দাবী করেন : সিরিয়া সরকারের সাথে নিজেদের কাজ সমাধানের পর উগ্রতাবাদী গ্রুপগুলো ইসরাইলের সন্ধানে আসবে।
এ্যাসোশিয়েটেড প্রেসকে তিনি জানান : এ গ্রুপগুলো সিরিয়াতে নিজেদের অবস্থান মজবুত করার পর ইসরাইলের উপর হামলা চালাবে।
লেবানন থেকে দখলকৃত ভূখণ্ডের উদ্দেশ্যে নিক্ষিপ্ত দু’টি রকেট আল-কায়েদার বলে আখ্যায়িত করেছেন জায়নবাদী কর্মকর্তারা। তবে স্বতন্ত্র পন্থীরা মনে করছেন, উগ্রতাবাদী দলগুলো দক্ষিন লেবাননের উপর হামলা চালাতে ইসরাইলকে উস্কে দেয়ার লক্ষ্যে এ হামলা চালিয়েছে।
উল্লেখ্য, সিরিয়ার অভ্যন্তরিন যুদ্ধে হস্তক্ষেপ না করাকেই প্রাধান্য দিয়ে সিরিয়াতে নিজের শত্রুদের অভ্যন্তরিন কোন্দল ও খুনোখুনি’র তামাশা দেখেছে দখলদার ইসরাইল। কিন্তু ইসরাইলি কর্মকর্তাদের মন্তব্য অনুযায়ী, এ বিষয়টি এখনো গুরুত্ব হারিয়েছে। কেননা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ যত দীর্ঘ হবে এ অঞ্চলে আরো অধিক সংখ্যক উগ্রতাবাদী জড়ো হতে থাকবে।