আবনা : ইরাক ও সিরিয়ায় যুদ্ধরত সন্ত্রাসী সংগঠন আইএসআইএল’র স্রষ্টা স্বয়ং যুক্তরাষ্ট্র। মধ্যপ্রাচ্যে নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করতেই আইএসআইএল নামে নতুন এই জঙ্গি গোষ্ঠীর উত্থান ঘটিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মধ্যপ্রাচ্যকে খণ্ড খণ্ড করার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতেই সিআইএর পৃষ্ঠপোষকতায় জন্ম হয়েছে আইএসআইএলে’র। মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিভিন্ন গবেষণামূলক প্রতিবেদনে রোববার এ খবর প্রকাশিত হয়েছে। এমনকি আইএসআইএলকে অর্থ জোগানদাতার ভূমিকাও পালন করছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যমগুলো এ ব্যাপারে কাতার, তুরস্ক ও সৌদি আরবকে দায়ী করছে।
ব্রিটেনের দ্য টেলিগ্রাফ বলছে, ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসআইএল দখল নেয়ার পর ১২০ কোটি ডলারেরও বেশি অর্থ সহায়তা পেয়েছে। এছাড়া জুনে মসুল বাঁধের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর ২৪০ মিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য সুবিধা পেয়েছে।
বিবিসির রিপোর্ট অনুযায়ী নগদ অর্থ সহায়তার অধিকাংশই আসছে কাতার, তুরস্ক ও সৌদি আরব থেকে। পলিটিসাইট ডটকম নামের একটি গবেষণাভিত্তিক ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়েছে আইএসআইএল (বর্তমান নাম আইএস) মূলত মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর হাতেই তৈরি।
এদিকে মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক একজন বিশেষজ্ঞ ড. কেভিন ব্যারেত প্রেস টিভির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আইএসআইএলকে অর্থ সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মধ্যপ্রাচ্যকে আরও খণ্ড খণ্ড করার জন্য এবং বিভক্তি জিইয়ে রেখে মার্কিন স্বার্থ সংরক্ষণে আইএসআইএলকে গোপনে সহযোগিতা করছে আমেরিকা। খলিফা ঘোষণাকারী আল বাগদাদি সিআইয়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। ২০০৪-২০০৯ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বুস্কা কারাগারে ছিলেন বাগদাদি।
কেভিনের মত হচ্ছে, ইরাক সেনাবাহিনীকে মার্কিনিরা অস্ত্র সরবরাহ করলেও তা হাতছাড়া হয়ে যায় আইএসআইএলে’র কাছে।
তিনি বলেন, মালিকির সঙ্গে টানাপোড়নে ইরাক বাহিনীকে নিরস্ত্রীকরণ করা হয়েছে। আইএসআইএলে’র বর্বর আক্রমণের সময়ও যুক্তরাষ্ট্র ইরাক বাহিনীকে সহযোগিতা না করে নতুন সরকার গঠনে চাপ প্রয়োগ করে এসেছে। ওদিকে সিরিয়ার বাশার আল আসাদ বিদ্রোহীদের অস্ত্র সরবরাহ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ওদিকে বিবিসি দাবি করেছে, বাশার আল আসাদ আইএসআইএলকে অস্ত্র দিচ্ছে তাদের থেকে তেল পাওয়ার জন্য। অন্যদিকে সৌদি আরব ও কাতার শিয়া মুসলিম-বিরোধী লড়াইয়ে আইএসআইএলকে অপ্রকাশ্যে অর্থ সরবরাহ করছে।#