মূল : মোহাম্মাদ সাঈদী মেহ্র
অনুবাদ : মোঃ ইউনুস আলী গাজী
ইমামত বিষয়ক আলোচনা (পর্ব ০১)
ভূমিকা
মুসলিম উম্মাহর নেতৃত্বের বিষয়টি -যা ইমামত[১] নামে পরিচিত- মহানবী (স.) এর ইন্তেকালের পর, ইসলামি চিন্তাধারায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও মৌলিক একটি বিষয়। মহানবী (স.) মদিনায় হিজরতের পর প্রথম ইসলামি রাষ্ট্র গঠন করেন এবং নিজেই তার নেতৃত্বের দায়িত্ব নেন। এরপর হতে মহানবী (স.) নিজের নবুয়্যতি মিশনের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি -যেমন : ওহী গ্রহণ ও তার প্রচার, কুরআনের বিভিন্ন আয়াতের তাফসির করা, ঐশী হুকুম-আহকাম বর্ণনা করা, জনগণকে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দান ও তরবিয়্যত করা ইত্যাদি- ইসলামি সমাজের নেতৃত্ব দানের দায়িত্ব তাঁর কাঁধে এসে পড়ে। তিনি মুসলমানদের মতবিরোধের সমাধান দিতেন, তাদের মাঝে বিচার করতেন, ইলাহি হদ (ঐশী দণ্ডবিধী) ও আইন জারী করতেন, সামরিক বাহিনী'র নেতৃত্ব দিতেন, যুদ্ধ ও সন্ধির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেন এবং সমাজের অর্থনৈতিক বিষয়াদি দেখাশুনা করতেন। এক কথায় মুসলিম উম্মাহর নেতৃত্ব দানের ধর্মীয় ও পার্থিব সকল বিষয়াদি মহানবী (স.) এর কাঁধেই ছিল।
কিন্তু মহান আল্লাহর সুন্নত (নীতি) এ সিদ্ধান্তের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল যে, মহানবী (স.) এর আয়ু চিরন্তন হবে না; তিনি হিজরতের ১০ বছর পর মদিনায় ইন্তিকাল করেন। এ সময় মুসলিম উম্মাহ একটি মৌলিক প্রশ্নের সম্মুখীন ছিল যে, মহানবী (স.) এর কোন সাহাবী নেতৃত্ব দানের গুরুত্বপূর্ণ এ দায়িত্ব গ্রহণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে যোগ্য? স্বয়ং এ প্রশ্নটিই অন্য কিছু প্রশ্নের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত। মূলতঃ মহানবী (স.) এর উত্তরাধিকারী ও স্থলাভিষিক্তের জন্য কোন কোন শর্ত থাকা আবশ্যক এবং মুসলমানদের ইমাম ও নেতা কিভাবে নিযুক্ত হবেন?... কিন্তু এ সকল প্রশ্নের ক্ষেত্রে প্রদত্ত সকল উত্তর কিন্তু এক রকম ছিল না!
ইতিহাসের সাক্ষ্য অনুযায়ী মহানবী (স.) এর ইন্তেকালের পর মুসলমানদের মাঝে সর্বপ্রথম বিভেদ ইমামত ও তাঁর স্থলাভিষিক্তের বিষয়েই সৃষ্টি হয়, আর এ বিভেদের পরিণামে শিয়া ও সুন্নি পৃথক হয়ে যায়। অবশ্য এ বিষয়টিকে ভুলে গেলে চলবে না যে, ইমামতের বিষয়ে শিয়া ও আহলে সুন্নতের মধ্যকার বিভেদ শুধুমাত্র ‘মহানবী (স.) এর যোগ্য উত্তরসূরী নির্বাচন'-এ বিষয়ে সীমাবদ্ধ নয়, বরং ইসলামি সমাজে ইমামতের স্থান, ইমাম বা নেতার কর্তব্য ও নেতা হওয়ার শর্ত ইত্যাদি বিষয়ে এ দুয়ের মাঝে মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। আর এ মৌলিক পার্থক্যের কারণেই এরা মহানবী (স.) এর যোগ্য উত্তরসূরী নির্বাচনের ক্ষেত্রে ঐকমত্যে পৌঁছুতে পারেনি।
ইমামত সম্পর্কে শিয়া ও সুন্নিদের সার্বিক ধারণা
আহলে সুন্নতের দৃষ্টিতে ইমামত একটি ঐশী পদ নয়। আর এ কারণে ইমাম, জনগণের ভোট বা তাদের প্রতিনিধিদের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হন, অথবা (ইমাম) সামরিক শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমেও ক্ষমতায় আসতে সক্ষম। কিন্তু শিয়াদের দৃষ্টিতে, ইমামত হচ্ছে ঐশী এক পদ এবং মহানবী (স.) এর রেসালতের কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা। এ কারণে ইমামকে অবশ্যই বিশেষ বৈশিষ্ট্য ও শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী হতে হবে যাতে মহানবী (স.) এর নেতৃত্বকে ধারাবাহিকতা দানের তওফিক লাভ করেন। অন্য ভাষায়, শিয়াদের দৃষ্টিতে ইমামকে অবশ্যই নবুয়্যত (যা ওহী গ্রহণ ও তার প্রচারের বিষয়টিকে বোঝায়) ব্যতীত মহানবী (স.) এর সকল বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হতে হবে। এরই ভিত্তিতে ইমাম এমন এক ব্যক্তিত্বের নাম যিনি ‘ইসমাত'-এর শীর্ষক বৈশিষ্ঠের অধিকারী হওয়া ছাড়াও ঐশী জ্ঞানে সমৃদ্ধ হবেন; যার ভিত্তিতে তিনি মহান আল্লাহর পবিত্র গ্রন্থের ত্রুটিমুক্ত তাফসির করতে পারবেন এবং মহানবী (স.) এর শিক্ষা মুসলমানদেরকে প্রদান করতে পারেন। পাশাপাশি মুসলিম উম্মাহ'র ধর্মীয় ও সামাজিক নেতৃত্ব কাঁধে তুলে নেবেন।
ইমামতের বিষয়টি উত্থাপনের প্রয়োজনীয়তা
হয়তবা ইমামতের বিষয়টি উত্থাপনের সমালোচনায় বলা হতে পারে যে, মহানবী (স.) এর স্থলাভিষিক্ত নির্বাচনের বিষয়টি অতিত ইতিহাসের সাথে সম্পৃক্ত। কেননা এর মূল বিষয়টি হচ্ছে, মহানবী (স.) এর সত্য ও প্রকৃত উত্তরসূরী ছিলেন প্রথম অথবা চতুর্থ খলিফা। কিন্তু বর্তমান যুগের মুসলমানদের জন্য এর কোন কার্যকরী উপকারিতা নেই; বিশেষতঃ যখন বিষয়টির উত্থাপন সাম্প্রদায়িক বিভেদের জন্ম দেয় এবং মুসলিম ঐক্যকে হুমকির সম্মুখীন করে।
এ অভিযোগ ও সমালোচনার জবাবে বলা যেতে পারে যে, প্রথমতঃ ইমামতের বিষয়টি শুধুমাত্র একটি ঐতিহাসিক বিষয় নয়, বরং এটা কালামশাস্ত্র ভিত্তিক ও আকিদাগত একটি বিষয়ও বটে। সুতরাং সকল মুসলমানের জন্য মা'রিফাতুল্লাহ বা আল্লাহ পরিচিতি এবং পুণরুত্থান দিবসের বিষয়ে গবেষণা করা যেমন আবশ্যক তেমনিভাবে ইমামতের বিষয়ে গবেষণা করা জরুরী। যাতে করে এর মাধ্যমে ব্যক্তি তার আকিদাগত জগতের একটি অংশে স্পষ্ট ফলাফলে পৌঁছুতে পারে। এ কারণেই ইমামতের বিষয়টি প্রতিটি যুগে ও প্রতিটি স্থানে মুসলমানদের জন্য একটি জীবন্ত ও দৃষ্টি আকর্ষণকারী বিষয় হিসেবে গন্য।
দ্বিতীয়তঃ ইমামত ও মহানবী (স.) এর স্থলাভিষিক্তির বিষয়টি প্রতিটি যুগে মুসলমানদের ধর্মীয় বিষয়াদিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ইমামতের মূল বিষয়টির ব্যাপকতার প্রতি দৃষ্টি রেখে শিয়াদের দৃষ্টিতে আমিরুল মু'মিনীন (আ.) ও তার সন্তানগণের ইমামতের প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের অর্থ হচ্ছে; তারা মহানবী (স.) এর পর ইসলামি শিক্ষা ও ধর্মের সত্য বিষয়াদি উদ্ঘাটনে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সূত্র এবং পবিত্র কুরআন ও মহানবী (স.) এর সুন্নতের বিষয়ে তাদের প্রদত্ত তাফসীরসমূহ ত্র"টিমুক্ত, তাই তাদের অনুসরণ করা আবশ্যক। অপরদিকে শিয়ারা যেভাবে হযরত আলী (আ.) ও তাঁর সন্তানদের ইমামতের বিষয়ে বিশ্বাস করে সুন্নিরা সেভাবে বিশ্বাস করে না, তারা ধর্মীয় জ্ঞানার্জনের ক্ষেত্রে অন্যান্য সূত্রের শরণাপন্ন হয় এবং পবিত্র কুরআনের তাফসির ও নব (স.) এর সুন্নতকে অন্য সূত্রের মাঝে অনুসন্ধান করে। মূলতঃ শিয়া ও আহলে সুন্নতের আকিদাগত ও ব্যবহারিক অনেক বিভেদও এখান হতে উত্স লাভ করে। কেননা শিয়ারা বিশ্বস্ত বর্ণনাকারীদের মাধ্যমে ইমামগণ (আ.) হতে বর্ণিত হাদীসসমূহকে মহানবী (স.) এর হাদীসের অনুরূপ নববী বলে জ্ঞান করে এবং এ সকল হাদীসের আকিদাগত দিকের উপর বিশ্বাস স্থাপন এবং শরয়ী বিষয়সমূহের উপর আমল করে। অন্যদিকে আহলে সুন্নত অন্যান্য সূত্রের শরণাপন্ন হওয়ার মাধ্যমে তাদের আকিদাগত ও ইসলামি মাসআলা-মাসায়েলগত বিভিন্ন বিষয়ের প্রতি [শিয়া মাযহাব অপেক্ষা] ভিন্ন জ্ঞান লাভ করে থাকে।[২] সংক্ষেপে বলা যেতে পারে ইমামতের বিষয়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও দৃষ্টি আকর্ষণকারী বিষয় হওয়া ছাড়াও মুসলমানদের চিন্তাধারা ও আচরণে ব্যাপক প্রভাব ফেলে।
তৃতীয়তঃ নিঃসন্দেহে বিভেদ হতে দূরে থাকা এবং ইসলামি ঐক্য সৃষ্টির লক্ষ্যে চেষ্টা করা প্রত্যেক মুসলমানের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব। কিন্তু গোঁড়ামী হতে মুক্ত থেকে ইমামতের বিষয়ে জ্ঞানভিত্তিক আলোচনা এবং এ বিষয়ে শিয়াদের দৃষ্টিভঙ্গির উত্থাপন মুসলমানদের ভ্রাতৃত্বের সম্পর্কে কোন চিড় তো ধরায়ই না বরং ঐক্যের বন্ধনকে সুদৃঢ় করার ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে পারে। কেননা ইতিহাসের সাক্ষ্য অনুযায়ী বিভিন্ন দল ও মাযহাবের মধ্যে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক যুদ্ধসমূহ অন্যান্য মাযহাবের অনুসারীদের সঠিক জ্ঞান না থাকা এবং আকীদা-বিশ্বাস অনাবগত থাকার কারণে সৃষ্টি হয়েছে করেছে।
‘ইমাম' শব্দের অর্থ
আভিধানিক দিক থেকে ইমাম শব্দটি হচ্ছে ‘ইসমে মাসদার' (নামবাচক শব্দমূল) এবং ‘আম্ম' ধাতু হতে সংগৃহীত হয়েছে যার অর্থ হচ্ছে ‘কোন কিছুকে উদ্দেশ্য করা'। আরবি ভাষায় ইমাম শব্দটি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে[৩] , নেতা ও পথনির্দেশক এগুলোর অন্যতম।
ইমাম শব্দটি হচ্ছে একবচন এর বহুবচন হচ্ছে ‘আইম্মাহ'; শব্দটি পবিত্র কুরআনে সর্বমোট ১২ বার এবং বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে; যেমন :- কিছু কিছু আয়াতে সত্য নেতা ও ঐশী নেতৃত্বের জন্য বর্ণিত হয়েছে[৪] :
«قال إنِّ جاَعِلُکَ لِلنّاسِ إماما»
অনুবাদ : "(মহান আল্লাহ্ ইব্রাহিমকে) বললেন, নিশ্চয়ই আমি তোমাকে মানবজাতির নেতা [ইমাম] নিযুক্তকারী...।" [৫]
কখনো কখনো কাফের ও পথভ্রষ্টদের নেতাদেরকেও ‘আইম্মাহ' বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে :
«فقاتِلُوا أَئِمَّةَ الکُفرِ»
অনুবাদ : "তবে কুফর প্রধানদের সাথে যুদ্ধ কর।" [৬]
সুতরাং পবিত্র কুরআন ‘ইমাম' শব্দটিকে, কালাম শাস্ত্রের পরিভাষায় ব্যবহৃত অর্থ -যা মহানবী (স.) এর স্থলাভিষিক্তের অর্থে ব্যবহৃত হয়- অপেক্ষা ব্যাপক অর্থে ব্যবহার করেছে।
ইমাম ও ইমামতের সংজ্ঞা
কালাম শাস্ত্রবিদগণ ‘ইমামে'র সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বিভিন্ন ব্যাখ্যা প্রনয়ন করেছে, যেগুলো সামান্য বাহ্যিক পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও প্রায় একই অর্থের অধিকারী। দৃষ্টান্ত স্বরুপ বলা হয়েছে : ‘ধর্মীয় ও পার্থিব বিষয়াদিতে সাধারণ নেতৃত্বের নাম হচ্ছে ইমামত। [৭]
অথবা
ইমামত; মহানবী (স.) এর খলিফা হিসাবে সকল মুকাল্লাফের (যাদের উপর বিধিবিধান পালন অপরিহার্য) ধর্মীয় ও পার্থিব বিষয়ে নেতৃত্ব দানের নাম।[৮] যদি শিয়াদের দৃষ্টিভঙ্গি মোতাবেক একটি পূর্ণাঙ্গ সংজ্ঞা প্রদান করতে চাই, যা এর মৌলিক বৈশিষ্ট্যাবলী'র কিছু অংশ বর্ণনা করবে, তবে বলতে হবে যে,
ইমামত হচ্ছে মহানবী (স.) এর স্থলাভিষিক্ত কর্তৃক মুসলিম উম্মাহকে ধর্মীয় ও পার্থিব বিষয়াদিতে নির্দেশনা দানের জন্য একটি ঐশী পদ। আর ইমাম হচ্ছেন একজন নিষ্পাপ এবং ঐশী জ্ঞানের অধিকারী ব্যক্তি, যিনি মহান আল্লাহ্ ও তাঁর নবী (স.)-এর পক্ষ হতে এ পদের জন্য নির্বাচিত এবং যাকে জনগণের মাঝে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়, যাতে মহানবী (স.) এর পর তাঁর কর্তব্য (ওহী গ্রহণ ও ওহী গ্রচার ব্যতীত) অব্যাহত রাখার দায়িত্ব গ্রহণ করে।
উপরোক্ত সংজ্ঞা এবং এতে বিদ্যমান কয়েকটি শর্ত, আগামী আলোচনাসমূহে অধিকতর স্পষ্ট করা হবে।
ফুটনোট :
[১] উল্লেখ্য, ‘ইমামত' কখনো কখনো ব্যাপক অর্থেও ব্যবহৃত হয়, আর এরই ভিত্তিতে নবীগণ (আলাইহিমুস সালাম)ও এর অন্তর্ভুক্ত। অন্য কথায় মহান আল্লাহ্ কর্তৃক মনোনীত নবীগণের একাংশ ধর্মীয় ও সামাজিক নেতৃত্বের দায়িত্বেও অধিষ্ঠিত হয়েছেন। তারা সার্বিক অর্থে ইমামতের পদের অধিকারী ছিলেন (যেমন পবিত্র কুরআনে সূরা বাকারাহ'র ১২৪ নং আয়াতে হযরত ইব্রাহিম (আ.) এর ইমামতের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে) কিন্তু এখানে ইমামত পদটি বিশেষ অর্থের অধিকারী, যাতে শুধুমাত্র মহানবী (স.) এর উত্তরাধিকারী ও স্থলাভিষিক্তরা অন্তর্ভুক্ত, যারা নবী নন।
[২] শিয়া ও সুন্নি মাযহাবের বিশ্বস্ত হাদীস গ্রন্থসমূহের প্রতি দৃষ্টি এবং পরস্পরের সাথে তুলনা করলে, এ দুই মাযহাবের মাঝে রেওয়ায়েত গ্রহণের বিষয়ে যে বিরাট পার্থক্য রয়েছে তা স্পষ্ট হবে।
[৩] ইমামের অন্যান্য অর্থের মধ্যে রয়েছে : ‘শিক্ষক', ‘রাস্তা', ‘ভূমির কিছু অংশ', ‘নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত রশি' ইত্যাদি। (জাওয়াহেরী, আল-সাহাহ, ৫ম খণ্ড; আল-শারতুনী, আকরাবুল মাওয়ারিদ; ইবনে ফারস, মু'জামুল মাকাঈসুল লোগাহ, ১ম খণ্ড।
[৪] পবিত্র কুরআনে ‘ইমাম' শব্দটি একবার লৌহে মাহফুজ অর্থে (ইয়াসিন : ১২), একবার রাস্তা বা পথ অর্থে (হিজর : ৭৮) এবং ১০ বার নেতা বা পথপ্রদর্শক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। এছাড়া দুইবার তাওরাত অর্থে (হুদ : ১৭ ; আহকাফ : ১২), একবার কোন শর্তসাপেক্ষ ছাড়াই নেতা অর্থে (ইসরা : ৭১), ৫ বার ঐশী নেতাদের ক্ষেত্রে (বাকারাহ : ১২৪ ; আম্বিয়া : ৭৩ ; ফুরকান : ৭৪ ; কাসাস : ৫ ; সিজদাহ : ২৪) এবং একবার কাফেরদের নেতাদের বিষয়ে ব্যবহৃত হয়েছে (তাওবাহ : ১২)।
[৫] সূরা বাকারাহ : ১২৪।
[৬] সূরা তাওবাহ ১২।
[৭] ((الإمامة رئاسة العامة فی أمور الدین والدنیا)) জুরজানী, শারহুল মাওয়াকেফ, ৮ম খণ্ড, পৃ. ৩৪৫।
[৮] লাহিজী, সারমায়ে ঈমান, পৃ. ১০৭। একই ধরনের সংজ্ঞা প্রদান করেছেন : তাফতাজানী, শারহুল মাকাসিদ, ৫ম খণ্ড, পৃ. ২৩২-২৩৪ ; মারুদী, আল-আহকামুস সুলতানিয়াহ, পৃ. ৫।
চলবে...
source : www.alimamali.com