বাঙ্গালী
Monday 25th of November 2024
0
نفر 0

চায়ের দোকানের আড্ডাতেই হিজবুত তাহরীরের বিস্তার!

আবনা ডেস্ক: চায়ের দোকানের আড্ডাতেই ধর্মের দোহাই দিয়ে জঙ্গি তত্পরতার বিস্তার ঘটায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরীর। ‘দেশটা ইসলামের দৃষ্টিতে পরিচালিত হচ্ছে না। ইসলামিক আইনে রাষ্ট্র পরিচালিত হওয়া উচিত।’ এমন কথারই প্রাধান্য ছিল ওইসব আড্
চায়ের দোকানের আড্ডাতেই হিজবুত তাহরীরের বিস্তার!

আবনা ডেস্ক: চায়ের দোকানের আড্ডাতেই ধর্মের দোহাই দিয়ে জঙ্গি তত্পরতার বিস্তার ঘটায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরীর। ‘দেশটা ইসলামের দৃষ্টিতে পরিচালিত হচ্ছে না। ইসলামিক আইনে রাষ্ট্র পরিচালিত হওয়া উচিত।’ এমন কথারই প্রাধান্য ছিল ওইসব আড্ডায়। এরপর বাড়িতে বাড়িতে ইসলামিক রাজনৈতিক চিন্তার বই দিয়ে খেলাফত প্রতিষ্ঠার প্রশিক্ষণ প্রদান। সঙ্গে বিভিন্ন বইপুস্তক ও লিফলেট পড়া আর বিলি করা। এভাবে নতুন নতুন সদস্য সংগ্রহ করে দলে ভেড়ানো। প্রাথমিক ধাপ ‘সাবাব’ সদস্য দুই বছর। উত্তীর্ণ হলে ক্যাডার সদস্য ‘মোশরেক’। সিনিয়র মোশরেক কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করবে। এভাবেই বিস্তৃত হতো হিজবুত তাহরীরের নেটওয়ার্ক। যশোরে হিজবুতের সেই নেটওয়ার্ক এখন পুলিশের জালে।
গত রবিবার দুপুরে হিজবুত তাহরীরের আরো এক সদস্য ডিপ্লোমা প্রকৌশলী মো. ফকরুল আলম তুষার (২১) আত্মসমর্পণ করেছেন। তিনি সংগঠনটির ‘সাবাব’ পরিচয়ের প্রাথমিক সদস্য। তিনি এবছর যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ডিপ্লোমা পাস করেছেন। তার বাবা মো. আব্দুর রাজ্জাক শহরের আরবপুর এলাকার কাঠ ব্যবসায়ী। যশোরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি এসএম মনির-উজ-জামান এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন। এর আগে গত ১১ আগস্ট যশোরে হিজবুত তাহরীরের আরো তিন সদস্য আত্মসমর্পণ করেন। আত্মসমর্পণকারী তুষারের বিরুদ্ধে যশোর কোতোয়ালী থানায় ২০১৩-এর সন্ত্রাস-বিরোধী আইনে মামলা রয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, আত্মসমর্পণকারী হিজবুত তাহরীর সদস্য তুষার ও রায়হান একই সঙ্গে তানজিব, মেহেদী হাসান পাশা, শাওন ও রাশেদের সঙ্গে খেলাফত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। সজল ও মহিউদ্দীনের বাড়িতে ইসলামিক রাজনৈতিক চিন্তার বই দিয়ে এই প্রশিক্ষণ হতো। সজল ও মহিউদ্দীন ছাড়াও ঢাকার মোসাব্বির, সাকিন ও সাকিব এসে ক্লাস নিতেন এবং বিভিন্ন বইপুস্তক ও লিফলেট দিয়ে যেতেন। সেগুলো তারা পড়তেন এবং বিলি করতেন।
পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের পর মো. ফকরুল আলম তুষার বলেন, দুই বছর আগে শহরের ধর্মতলা এলাকার চায়ের দোকানে আড্ডায় হিজবুত তাহরীরের সদস্যদের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর থেকে চায়ের দোকানের আড্ডায় ২-৩ জন হিজবুত তাহরীর সদস্য তাকে ধর্মীয় নানা বিষয় সম্পর্কে তাদের ভাবনার কথা বলতো। ধর্মীয় সাধারণ বিষয়বস্তু নিয়ে কিছুদিন আলোচনার পর ইসলামী আইন-কানুন তাদের মতো করে ব্যাখ্যা করতো। ২০১৩ সালে এই পরিচয় হয় তুষারের মামাতো ভাই রায়হান আহমেদের মাধ্যমে। এই রায়হান ১০ দিন আগে ১১ আগস্ট হিজবুত তাহরীর সদস্য হিসেবে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
সাংবাদিকদের তুষার বলেন, ‘তারা যখন ইসলামি ভাবধারার রাষ্ট্র পরিচালনার কথা বলতে শুরু করে, তখন আমি বুঝতে পারি তারা কোনো জঙ্গি দলের সদস্য। আমাকে ভুল বুঝিয়ে ভুল পথে নেয়ার চেষ্টা করছে। তাদের সঙ্গে থেকে তাদের সদস্য হওয়ার ভুল বুঝতে পেরে আমি আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তুষার আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন যারা ভুল পথে গিয়েছে  তারা ফিরে আসলে আইনি সহায়তা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হবে। এই ঘোষণায় আত্মসমর্পণ করেছি। তুষার বলেন, এসব সংগঠন যেসব কথা ইসলামের নামে বলে তা সঠিক নয়। ইসলামের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। তাই তার মতো যারা ভুল পথে আছেন তাদেরও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ডিআইজি মনির-উজ-জামান বলেন, ভুল বুঝতে পেরে তুষার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায়। আমরা তার অপরাধের ধরন বিশ্লেষণ করে আইনি সহায়তা প্রদান করব। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান ও নড়াইলের পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, গত ১১ আগস্ট যশোরে অন্য যে তিনজন আত্মসমর্পণ করেন তারা হলেন: সাদ্দাম ইয়াসির সজল (৩২), রায়হান আহমেদ (২০) ও মেহেদী হাসান পলাশ (২০)।


source : abna24
0
0% (نفر 0)
 
نظر شما در مورد این مطلب ؟
 
امتیاز شما به این مطلب ؟
اشتراک گذاری در شبکه های اجتماعی:

latest article

তুরস্কে ছুরিকাঘাতে বাংলাদেশি খুন
নিউ ইয়র্কে এবার ছুরিকাঘাতে ...
যশোরে ইমাম বাকির (আ.) এর ...
ফিলিস্তিন ও যায়নবাদ প্রসঙ্গ : ...
‘মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ (সা.)’ মুভি ...
শিশু নীরব হত্যা মামলার প্রধান ...
স্কুলে হিজাব পরায় মার্কিন মুসলিম ...
রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের ...
আয়াতুল্লাহ জাকজাকি বেঁচে আছেন ...
‘সর্বোচ্চ নেতার চিঠি ...

 
user comment