আবনা ডেস্কঃ 'জয় শ্রী রাম', 'জয় মাতা কি' স্লোগান দিতে রাজি না হওয়ায় কাশ্মিরের এক মসজিদের ইমামকে নির্যাতন করেছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং এর সদস্যরা। এঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।খবর জি নিউজের।
কাশ্মীরে অমরনাথে যাত্রীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বুধবার বজরং সদস্যরা মিছিল করে। মিছিলের সময় তারা হিসারের জামে মসজিদের ইমামকে জোর করে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করে আনে। সেখানে তারা ইমামকে 'জয় শ্রী রাম', 'জয় মাতা কি' স্লোগান উচ্চারণ করতে বলে। কিন্তু ইমাম তা না করায় তাকে মারপিট করা হয়।
'দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস'কে দেয়া সাক্ষাৎকারে ৩০ বছর বয়সী মুহাম্মদ হারুন তার ওপর হওয়া বর্বরোচিত আচরণের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, বজরং দলের কর্মীরা আমাকে মসজিদের ভেতর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে নিয়ে আসে। তারপর তারা আমাকে জোর করে 'জয় শ্রী রাম', 'জয় মাতা কি' স্লোগানগুলো উচ্চারণ করতে বলে। যেটা আমার ধর্মীয় বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। আমি ভয় পেয়েছিলাম। চুপ করে দাঁড়িয়েছিলাম। এরপর বজরং দলের কর্মীরা আমাকে একের পর এক চড় মেরেছেন। আমি চুপ ছিলাম।
হারুনের অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযুক্ত অনিল (৩০) নামের এক বজরং সদস্যকে গ্রেফতার করেছে হিসারের পুলিশ।
কাশ্মীরের অনন্তনাগে অমরনাথ যাত্রীদের ওপর সন্ত্রাস হামলার প্রতিবাদে বুধবার মিছিল করেছে বজরং দল। পুলিশের দাবি এই মিছিল চলাকালীনই হিসারের জামা মসজিদের কাছে চড়াও হয়ে এই কাণ্ড ঘটায় বজরং দলের কর্মীরা।
অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার পর হিসারের এসপি মণীশ চৌধুরী জানিয়েছেন, ৩০ বছরের অনিল ওই অঞ্চলেরই বাসিন্দা, সামনেই একটি বাজারে দোকান রয়েছে তার। ভাইরাল হয়ে যাওয়া ওই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখেই গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে।
অভিযুক্ত অনিশ জেরায় স্বীকার করেছে, 'ভারত মাতা কি জয়' বলতে বলা হলে, শাহী ইমাম তা বলেননি, তাই তিনি চড় মেরেছেন।