পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার নিউ ফারাক্কা স্টেশন থেকে গতকাল সোমবার আহম্মদ আলি ওরফে কালু ও রোববার রাতে একই গ্রাম থেকে রুবেল শেখ ওরফে আজহার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আবনা ডেস্কঃ তিব্বতের ধর্মীয় নেতা দালাই লামাকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত সন্দেহে পশ্চিমবঙ্গে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভারতের পুলিশের দাবি, গ্রেপ্তার দুজন বাংলাদেশে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য।
পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার নিউ ফারাক্কা স্টেশন থেকে গতকাল সোমবার এক জেএমবি সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর নাম আহম্মদ আলি ওরফে কালু। তাঁর বাড়ি মুর্শিদাবাদের শামসেরগঞ্জ থানার রতনপুর গ্রামে। এ ছাড়া রোববার রাতে একই গ্রাম থেকে রুবেল শেখ ওরফে আজহার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ নিয়ে দালাই লামা হত্যার ষড়যন্ত্রে পাঁচজন গ্রেপ্তার হলো। এঁরা জেএমবির জঙ্গি বলে পুলিশের ধারণা। তাঁদের এখন জেরা চলছে।
গত ১৮ জানুয়ারি বিহারের বুদ্ধগয়ায় তিব্বতের ধর্মগুরু দালাই লামার সভার আগে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে, এর আগে ধৃত শেখ পয়গম্বর ও শেখ জামিরুলকে জেরা করে পুলিশ এই আহম্মদ আলি ও রুবেল শেখের সন্ধান পায়। রুবেল গ্রেপ্তার হয় তাঁর বাড়ি থেকে।
অন্যদিকে কলকাতার এসটিএফের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে চারজন। কালু এসটিএফের জেরায় জানিয়েছেন, তিনি বেশ কয়েকবার বাংলাদেশেও গিয়েছিলেন। ওখান থেকে নিয়েও এসেছেন বিস্ফোরক। কালু পুলিশকে জানিয়েছেন, তিন মাস আগে বুদ্ধগয়ায় বিস্ফোরণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। এ জন্য তাঁর বাড়িতে একটি বৈঠকও হয়। সেই বৈঠকে জেএমবির নেতা কাওছার ও সালাহউদ্দিন সালেহ উপস্থিত ছিলেন। সবকিছু চূড়ান্ত হওয়ার পর দলের ছয় থেকে সাতজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয় বুদ্ধগয়ায় বিস্ফোরণের। ঘটনার আগে তাঁদের একটি দল বুদ্ধগয়া ঘুরে আসে। পরে মূল দলটি বুদ্ধগয়ায় গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটায়। ওই দলে কালু ছিলেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।