ডাচ সাংবাদিক বেট্টে ড্যাম তার ‘সার্চিং ফর এন এনিমি’ বইতে দাবি করেন, জাবুল প্রদেশে মার্কিন ঘাঁটির মাত্র তিন মাইল দূরে ওমর বাস করতেন।
আবনা ডেস্কঃ তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমর বাস করতেন আফগানিস্তানে মার্কিন ঘাঁটি থেকে সামান্য হাঁটা দূরত্বে। অথচ তাকে ধরতে যুক্তরাষ্ট্র কতো চেষ্টাই না চালিয়েছিল। নতুন একটি বইতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বইটিতে মার্কিন গোয়েন্দাদের বিব্রতকর ব্যর্থতার চিত্রই ফুটে উঠেছে।
মার্কিন ও আফগান নেতারা মনে করতেন মোল্লা ওমর পালিয়ে গেছেন এবং সম্ভবত পাকিস্তানে তার মৃত্যু হয়েছে।
কিন্তু ডাচ সাংবাদিক বেট্টে ড্যাম তার ‘সার্চিং ফর এন এনিমি’ বইতে দাবি করেন, জাবুল প্রদেশে মার্কিন ঘাঁটির মাত্র তিন মাইল দূরে ওমর বাস করতেন। সেখানেই তিনি ২০১৩ সালে মারা যান।
পালিয়ে থাকাকালে ওমর তার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন না এবং কাল্পনিক হিজিবিজ ভাষায় নোটবুক লিখতেন।
ড্যাম এই বইয়ের জন্য ৫ বছর গবেষণা করেন। তিনি ওমরের দেহরক্ষী জাব্বার ওমারির সাক্ষাৎকার নেন। তালেবানের পতনের পর এই ওমারি মোল্লা ওমরকে পালিয়ে থাকতে সাহায্য এবং তাকে রক্ষা করেন।
এই লেখক আফগানিস্তানে অনেক বছর ধরে রির্পোটিংয়ের কাজ করেন। তিনি এর আগে সাবেক আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইকে নিয়েও বই লেখেন।
যুক্তরাষ্ট্রে নয় এগারোর হামলার পর দেশটি আফগানিস্তান আক্রমণ করে এবং তালেবানের পতন ঘটায়। সে সময় যুক্তরাষ্ট্র মোল্লা ওমরের মাথার দাম ১ কোটি মার্কিন ডলার ঘোষণা করে। অথচ ওমর প্রাদেশিক রাজধানী কালাতে আত্মগোপন করেন। মার্কিন বাহিনী দুই দুইবার তাকে প্রায়ই ধরেই ফেলেছিল। কিন্তু তিনি রক্ষা পেয়ে যান।
বইটিতে বলা হয়, আত্মগোপনকালে মোল্লা ওমর বিবিসির সান্ধ্যকালীন পশতু সংবাদ শুনতেন। তিনি বিশ্ব সংবাদ সম্পর্কে কদাচিৎ মন্তব্য করতেন। এমনকি আল কায়দা নেতা ওসামা বিন লাদেনের মৃুত্যও খবর শুনেও তিনি কিছু বলেননি। ওমর ২০১৩ সালে অসুস্থ হন। কিন্তু কোন ডাক্তার দেখাননি। এমনকি চিকিৎসার জন্যে পাকিস্তানও যেতে চাননি। পরে তিনি জাবুলেই মারা যান।