ঐ বেবি কেয়ার সেন্টারে মুসলমানদের ইবাদতের অনেক ছবিই দেখতাম। একটি ছবিতে সিজদায়রত এক মুসলমানকে দেখলাম। শৈশবে ঐ অবস্থাকে আমার খুবই আধ্যাত্মিক বলে মনে হয়েছিল...
আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা আবনার রিপোর্ট : জাপানের টোকিও শহরের অধিবাসী ‘জনাবা শামস আফা' আয়াতুল্লাহ আল-উজমা মারআশী নাজাফী (রহ.) এর গ্রন্থাগার পরিদর্শনকালে বলেন: আমি অবাক হয়েছি যে, একজন ব্যক্তি কিভাবে এতবড় একটি গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন। এ বিরাট গ্রন্থাগার ঐ মহান ব্যক্তিত্বের আপ্রাণ প্রচেষ্টার বিষয়টিকেই প্রমাণ করে।
তিনি তার ইসলামি জ্ঞান ও শিক্ষার প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার বিষয়ে বলেন: আমি দশ বছর বয়সে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হই এবং বড় হয়ে আমি আমার শৈশবের সে স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছি। আমি এখন হতে ১৫ বছর পূর্বে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি।
শৈশবে একটি খ্রিষ্টান বেবি কেয়ারে তার স্মৃতি চারণ করে জনাবা শামস আফা বলেন : ঐ বেবি কেয়ার সেন্টারে মুসলমানদের ইবাদতের বিষয়ে বিভিন্ন বই ও ছবি আমি দেখেছিলাম। ঐ স্থানে সিজদারত একজন মুসলমানের ছবি দেখলাম। শৈশবে ঐ অবস্থাটি আমার খুবই আধ্যাত্মিক বলে মনে হয়েছিল এবং আমি তা দেখে অত্যন্ত প্রভাবিত হয়েছিলাম। আমি বড় হয়ে আমার সিদ্ধান্তকে বাস্তবে রূপ দান করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলাম এবং শিয়া মাযহাবকে নিজের অনুসরণীয় মাযহাব হিসেবে গ্রহণ করেছি।
জাপানীজ এ নারী অশ্রুসজল চোখে বলেন: আমি এ সাক্ষাতকার প্রদানের সময় দশ বছর বয়সের সেই অভিজ্ঞতাকে আমার স্মরণ হচ্ছে। এ অবস্থায় সিজদারত সেই মুসলমানের ছবিটি আমার সামনে ভেসে উঠছে এবং আমি ঐ সময়কার আনন্দ অনুভব করছি।
প্রথম বারের মত তিনি ইরান সফর করছেন এ কথা উল্লেখ করে শামস আফা বলেন: তেহরান ও কোম শহর দেখার পর ইরান সম্পর্কে আমি মনে মনে যা ভেবেছিলাম তা বাস্তবে পেয়েছি। যদিও আমি ইরানি দূতাবাসে ইরানের বিভিন্ন ছবি ও বই দেখেছিলাম এবং ইরান ও এদেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা আমার ছিল।
তিনি পবিত্র কোম শহরের ইলমি দিকের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন: কোম শহরটি মুসলিম বিশ্বের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হতে পারে। আমি কোমে অনেক বড় বড় ব্যক্তিত্বদেরকে দেখেছি। আমার মতে এ শহরের প্রচার আরো অধিক ও ব্যাপকভাবে চালানো উচিত যাতে বিশ্ববাসী এ শহর সম্পর্কে পরিচিতি লাভ করতে পারে।
ইরানের যে সকল ব্যক্তিত্বের সাথে সাক্ষাত করেছি তারা আমার সাথে উত্তম আচরণ করেছেন তাদের সকলের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাই -এ কথা উল্লেখ করে জনাবা আফা বলেন: আমি মহান আল্লাহর দরবারের কৃতজ্ঞ যে, আমি আমার পূরোনো স্বপ্নে পৌঁছুতে সক্ষম হয়েছি এবং গতরাতে আমি জামকারানে মসজিদে অতিক্রম করেছি। গতরাতকে আমি পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত ও আল্লাহর নিকট মোনাজাতের মাধ্যমে অতিক্রম করেছি।#
source : www.abna.ir