Hindi
Tuesday 26th of November 2024
0
نفر 0

ইরানের ধর্মভিত্তিক জনগণের শাসন ব্যবস্থা আরব দেশগুলোকে আতঙ্কিত করে তুলেছে

ইসলামি শাসন ব্যবস্থার আওতায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ঐশি ধর্মের মূল বিষয়। অন্যকথায় বলা যায়, ইসলামে আধ্যাত্মিক ও রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনায় মানুষকে যে পূর্ণতায় পৌঁছার কথা বলা হয়েছে তার সাথে পাশ্চাত্যের আধুনিক চিন্তা-চেতনার পার্থক্য রয়েছে। আমেরিকার খ্যাতনামা চিন্তাবিদ অধ্যাপক হান্টিংটন রাজনৈতিক উন্নতি বলতে কেবল শিল্পোন্নয়ন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও রাজনৈতিক অংশগ্রহণমূলক কর্মকাণ্ডকেই বুঝিয়েছেন।

আবনা ডেস্কঃ ইসলামি বিপ্লবের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম ইমাম খোমেনি এ ব্যাপারে বলেছেন, "আমরা জনগণের ভোট ও মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি, তাদের মতামতকে শ্রদ্ধা করি। জনগণ যেদিকেই ভোট দিক না কেন আমরাও সেটাকে মূল্যায়ন করি। মহান আল্লাহ তাআলা এবং ইসলামের নবী জনগণের ওপর কিছু চাপিয়ে দেয়ার অধিকার আমাদের কাউকে দেননি।"
ইসলামি শাসন ব্যবস্থার আওতায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ঐশি ধর্মের মূল বিষয়। অন্যকথায় বলা যায়, ইসলামে আধ্যাত্মিক ও রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনায় মানুষকে যে পূর্ণতায় পৌঁছার কথা বলা হয়েছে তার সাথে পাশ্চাত্যের আধুনিক চিন্তা-চেতনার পার্থক্য রয়েছে। আমেরিকার খ্যাতনামা চিন্তাবিদ অধ্যাপক হান্টিংটন রাজনৈতিক উন্নতি বলতে কেবল শিল্পোন্নয়ন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও রাজনৈতিক অংশগ্রহণমূলক কর্মকাণ্ডকেই বুঝিয়েছেন।
বাস্তবতা হচ্ছে, যে কোনো পরিস্থিতি পরিবর্তন আনার জন্য প্রয়োজনীয় সক্ষমতা থাকা উচিত রাজনৈতিক শাসন ব্যবস্থার। ইরানের ধর্মভিত্তিক জনগণের শাসন ব্যবস্থা হচ্ছে এ ধরণের একটি বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। ইরানের রাজনৈতিক শাসন ব্যবস্থায় ঐশি মূল্যবোধ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। ইরানের সংবিধানেও সব শ্রেণীর মানুষের ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষার ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। ইরানের সংবিধানের প্রথম অনুচ্ছেদে এসেছে, "দেশটির শাসন ব্যবস্থার ধরন হচ্ছে ইসলামি প্রজাতন্ত্র।" অর্থাৎ ইসলামি আদর্শ ভিত্তিক প্রজাতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা যা কিনা জনগণের ভোটে নির্ধারিত হয়েছিল।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ইরানে ধর্মভিত্তিক জনগণের শাসন ব্যবস্থাকে সুস্থ ও উত্তম গণতন্ত্রের নমুনা হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও এটিকে তুলে ধরা যেতে পারে। ইরাকের দৈনিক আল সিয়াসাতে পত্রিকার সম্পাদক আদেল আল মানায়ে বলেছেন, "ইরানের ধর্মভিত্তিক জনগণের শাসন ব্যবস্থা এ অঞ্চলের আরব দেশগুলোর সরকারকে আতঙ্কিত করে তুলেছে।"
ইরানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশ্লেষক ড. সাইয়্যেদ রেজা সাদরুল হোসেইনি ইরানের ধর্ম ভিত্তিক জনগণের শাসন ব্যবস্থাকে গণতন্ত্রের সর্বোৎকৃষ্ট নমুনা হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তেও গণতন্ত্রের এ ধারা ছড়িয়ে দেয়া উচিত। তিনি বলেন, "আমেরিকা ও তার মিত্রদের ক্ষোভের একটা বড় কারণ হচ্ছে গত ৪০ বছর ধরে ইরানের সংসদ, প্রেসিডেন্ট ও বিশেষজ্ঞ পরিষদের নির্বাচন সময়মত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এটা অন্য দেশকেও আকৃষ্ট করছে।"
যাইহোক, বাস্তবতা হচ্ছে, ইরানের ধর্মভিত্তিক জনগণের শাসন ব্যবস্থা এ অঞ্চলের মানুষের উৎসাহ-উদ্দীপনা ও প্রেরণার বিষয়ে পরিণত হয়েছে।#

0
0% (نفر 0)
 
نظر شما در مورد این مطلب ؟
 
امتیاز شما به این مطلب ؟
اشتراک گذاری در شبکه های اجتماعی:

latest article

अरब सरकारें फिलिस्तीन को बेच कर ...
यमन पर अतिक्रमण में इस्राईल की ...
क़ुरआन तथा पश्चाताप जैसी महान ...
सीरिया, लाज़ेक़िया के अधिकांश ...
पश्चाताप आदम और हव्वा की विरासत 4
नाइजीरियाई सेना का क़हर जारी, ...
इमाम अली अलैहिस्सलाम की दृष्टि मे ...
चिकित्सक 2
लोगों के बीच सुलह सफ़ाई कराने का ...
अमरीकी कंपनी एचपी के विरुद्ध ...

 
user comment